নিজস্ব প্রতিবেদক: তুরস্ক বাংলাদেশ থেকে আম, আনারসসহ বিভিন্ন ফুড আইটেম নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। একইসঙ্গে এগ্রো প্রসেসিং ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণে তুরস্কের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। সচিবালয়ের কৃষি মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান সাক্ষাৎ করেন। এ সময় দু’দেশের কৃষি, প্রাণিসম্পদ, কৃষি যন্ত্রপাতি এবং ফুড প্রসেসিং নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এ সম্পর্ক অটুট থাকবে। ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ সবক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো বাড়াবো। কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেছেন, তুরস্কের অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। তুরস্ক খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং তুরস্কের ফুড প্রসেসিং ইন্ড্রাস্ট্রি অনেক শক্তিশালী।
মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, টার্কিস কোঅপারেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন এজেন্সি (TIKA) বাংলাদেশকে ফুড প্রসেসিংয়ে সহযোগিতার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করবে। এ ছাড়া, তুরস্কের বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাকেও দু’দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার খাত চিহ্নিতকরণ ও কোঅপারেশনের ব্যাপারে সম্পৃক্ত করতে উদ্যোগ নেয়া হবে।
কৃষি ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে ২০১২ সালে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মাঝে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সাক্ষাৎকালে তার আলোকে কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বায়োটেকনোলজি, এগ্রো ফুড প্রসেসিং ও প্যাকেজিং, কৃষি যন্ত্রপাতি, বীজ উৎপাদন, জলবায়ু অভিঘাতসহনশীল বিভিন্ন জাত উদ্ভাবন ও গবেষণা প্রভৃতি বিষয়ে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারকরণে আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেন।